ঈদ সামনে রেখে শপিংমল ও দোকানপাট খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের দুদিনের মাথায় মানিকগঞ্জে আবার তা অনিদির্ষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় এ সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্র্রশাসন। মঙ্গলবার বিকালে এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম ফেরদৌস ঘোষনা দেন। তবে ঔষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ও সবজি বাজার এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেহেতু জনসাধারণের সুবিধার্থে পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য বাজার যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে এবং আরও কয়েকটি শর্ত যা সরকার কর্তৃক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু দুদিন বাজার ও শপিংমল সরেজমিন পরিদর্শনে প্রতীয়মান হয় যে ক্রেতা-বিক্রেতারা ন্যূনতম ৯০ ভাগ মানুষ বর্ণিত শর্তের বিষয়ে সম্পূর্ণ অবহেলা প্রদর্শন করছেন।
এ অবস্থায় মানিকগঞ্জবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৩ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পযর্ন্ত দোকান পাট/শপিংমল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। তবে সাধারণ মুদি দোকান, সবজি বাজার ও ওষুধের দোকান এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, সরকারি সিদ্ধান্তের পর গত ১০ মে থেকে মানিকগঞ্জের দোকানপাট ও শপিংমল খুলতে শুরু করে। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই দোকানগুলোতে ছিল মানুষের কেনাকাটার ভিড়। যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বালাই ছিল না। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সোচ্চার ছিল সচেতন মহল। এরপরই জেলা প্রশাসন থেকে দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত এলো। জেলা প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে জেলার সচেতন মহল।