এস রহমান সোহেল,আরব আমিরাত: আবুধাবি প্রবাসী মোহাম্মদ আশরাফ আলীর দুটো কিডনি অকেজো হয়ে পড়েছে। তিনি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার অন্তর্গত নোয়াপাড়া মুকার দীঘির পাড়া মরহুম ফিরোজ আহমেদের ছেলে। দীর্ঘ ১৪ বছর যাবৎ আবুধাবির একটি কোম্পানিতে পেইন্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গত (৬ জুলাই) অসুস্থতা অনুভব করায় ডাক্তার পরামর্শে আবুধাবিস্থ লাইফ কেয়ার হসপিটালে ভর্তি হন মোহাম্মদ আশরাফ আলী। নির্দিষ্ট সময়ে চেক আপ শেষে ডাক্তারের পক্ষ থেকে জানানো হয় তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে হয়ে গেছে। সহসাই তার কিডনি প্রতিস্থাপনসহ উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছে ডাক্তার।
অসহায় ও সামান্য বেতনের কর্মচারী আশরাফের পক্ষে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা করে নিজেকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয়। তার পরিবারের উপার্জনশীল ব্যক্তি বলতে তিনি একাই। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান ভিটেমাটি বিক্রি করে অসহায়ত্ব মোচনের উদ্দেশ্য অনেক স্বপ্ন নিয়ে নিজে প্রবাসী হয়েছে। কিন্তু মহামারী কিডনি রোগ তার সকল স্বপ্ন চুরমার করে দিল। আশরাফ বাঁচতে চায়। আবুধাবিতে তার কোন নিকটাত্মীয় নেই, উপরন্তু কোম্পানি ও তার দায়িত্ব নিতে নারাজ। উপায়ান্তর না দেখে গতকাল রাত ২টায় ফ্লাই দুবাইয়ের ফ্লাইটে তাকে দেশে পাঠানো হয়েছে।
এমতাবস্থায় সমাজের বিত্তবানরা যদি একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন একজন আশরাফকে সুস্থ করা যাবে। হাসি ফুটবে তার অসহায় পরিবারের মুখে। বাচ্চরা ফিরে পাবে একজন পিতাকে। আশরাফ আলীর বলেন, আপনারা আমার জন্য কিছু করেন, আমি বাঁচতে চাই, আমি পিতাহীন গরীব মানুষ। ছোট ছোট বাচ্চা সন্তান নিয়ে আমার স্ত্রী অনেক কষ্টে আছে। সমাজের বিত্তবানদের কাছে আমার আর্জিটুকু পৌঁছে দিন, তারা যেন একটু আমার পাশে এসে দাঁড়ায়।