জসিম উদ্দীন সরকার লেবানন: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি লেবানন কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৭১এ সকল শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে মিলাদ, দোয়া ও আলোচনা সভায় আয়োজন করা হয়।
আলকোলার রেস্ট পেলেস কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সভায় লেবানন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম আইমানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, লেবানন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্দুল খালেক তাহের। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক, নীতিনির্ধারনী ফোরামের সদস্য ও সাবেক প্রধান উপদেষ্টা আমীর হোসেন কলিম, সিনিয়র সহ সভাপতি জাকির হোসেন, সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, উপদেষ্টা মন্ডীর সদস্য আব্দুল হালিম, লেবানন যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল করিম, উপদেষ্টা মন্ডীর সদস্য আবু তাহের, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ভাষাণী মোল্লা সহ অনেকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ ও দোয়া করা হয় এবং জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লেবানন বিএনপির সহ সভাপতি আবু বক্কর।
আলোচনা সভায় টেলিকনফেরান্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে ন্যায় বিচার আশা করা যায়না, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আজ গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় ভাবে জেলে আটকে রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার একমাত্র পথ আন্দোলন, আন্দোলনের মাধ্যমেই তাকে মুক্ত করা হবে। তাই আগামীতে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির ডাক আসলে লেবানন বিএনপি এবং প্রবাসী বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দদের সেই আন্দোলনে শরীক হবার আহবান জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন, উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য রুহুল আমীন, সহ সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন, আব্দুল হক, মোস্তফা কামাল পাটোয়ারী,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জনি মিয়াজী, বিপুল শীল, লেবানন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলম, প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল- মামুন, সহ প্রচার সম্পাদক রাব্বুল শেখ।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন লেবানন বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সহ ২০টি শাখা কমিটি, যুবদল ও শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, ২৬মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল বলেই সেদিন তার ঘোষণায় অনুপ্রেরিত হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা মুক্তি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিল। তাই ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। কাগজ কলমে লেখা পাতা থেকে ইতিহাস মুছে ফেললেও মানুষের হৃদয় থেকে বাস্তব ইতিহাস যেমন মুছে ফেলা যাবেনা, ঠিক তেমনি জিয়াউর রহমানের যে স্বাধীনতার ঘোষক সেটিও বাংলার মানুষের মন থেকে মুছা যাবে না। স্বাধীনতার ঘোষক, সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান চিরদিন অমর হয়ে থাকবে।
৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধের সকল শহীদদের স্মরণ করে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বাংলার ইতিহাসে যেমন সকল শহীদরা অমর, তেমনি মুক্তিযোদ্ধারাও বাংলার বীরশ্রেষ্ট সন্তান। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দেখছি অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার বলতে, অথচ আওয়ামী লীগ দাবি করেন তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। বক্তারা আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কোন অপমান বিএনপি মেনে নেবেনা।
বক্তারা বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।