বিনোদন ডেস্ক:
ধুমকেতু
-রওশন আরা বেগম
আমি মেঘ খাই, আমি আলোক খাই
আমি নক্ষত্ররাজি গিলে গিলে খাই,
আমি এক বুভুক্ষ দানব।
আমি ঘুরি নক্ষত্রের চারিদিকে,
আমি আধাঁর হয়ে থাকি,আমি কারো উপর নির্ভর করি না।
আমি তাপে গড়ি বরফের বাসর।
আমি গিলে খাই, আছে যত দৈত্য দানব।
আমি অশরীরি কায়া, আমি মানিনা কারো বারণ,
আমি বুঝি কোন লক্ষ্য,আমি ধারি না কারো ধার,
আমি এক নিষ্ঠুর ছায়া।
আমি এক রজকিনীর কায়া,
আমি এক সুবাসিনীর কল্পদ্বার।
আমি আলোতে ভাসি না যখন তখন কারণ,
আমি মহাকাশে চিবিয়ে গিলি আছে যত উল্কা, নীহারিকা,ছায়াপথ।
আমি মিল্কওয়ে যাই আলোর গতির লক্ষগুণের প্রতীক।
আমি মহাদস্য, আমি দাবন, মানিনা কোনো শাসন কানুন,
আমি যে ধুমকেতু।
আমি এক দানব কুমীরের মত, কাঁটায় কাঁটায় লেজ দিয়ে গিলে খাই ঈশ্বর মহাদেব।
আমি করিনাকো কাউকে ভয়।
আমি ঝঙ্কারে করি রাজ্যের জয়।
আমি থই থই, আমি রই রই, আমি ফুসকে উঠি ধরার বুকে টর্চের মত আলোক দিয়ে।
আমি আবার চলে যাই নীলাম্বরে।
আমি বুভুক্ষ এক অতন্দ্র প্রহরী,
আমি আমার নাটাই নিয়ে ঘুরিফিরি,কখনো ব্যাঙ্গের ছাতা হয়ে মিলিয়ে যাই মহারথীর ছায়ে,
আমি ধুমকেতু।
আমার আলোর ঝলকে ঝলে কোটি প্রাণ,
ঝলে দেবতারা হয়ে আসমান।
ধীর গতিতে আমার আবাস।
আমার রুপের ঝলক যখন দেখাই মানব কূলে,
আহা, মরি,মরি,থমকে দাঁড়াই সবাই দেখতে,আবার ফাঁকি দিয়ে চলে যাই আমার রেশমী চুরির ঝঙ্কারে।
আমায় হয়ত দেখবে মহারথী, আবার দেখবে না কোনো মন পিয়াসী,হয়ত দেখবে জ্বলবে নিগুড় প্রেমেতে।
আমি দাসত্ব মানি না,
আমি কারো ধার ধারি না,
আমি চলি শীতল আবেশে, হয়ে মায়াবিনী।
আবার রুক্ষতাপে আমি মরীচিকা সেজে আশীর্বাদের ঢাল হয়ে মিলাই মহাবিশ্বে।
আমি ঝলকে ঝলকে ঝলক লাগাই প্রায় শতাব্দীর পরে।
আমি ধুমকেতু।
এস রহমান/জনশক্তি