জনশক্তি রিপোর্ট: লেবাননে মুদ্রার পতনের প্রতিবাদে ১১জুন শুক্রবার রাত্রে কয়েক হাজার লেবানিজ রাস্তায় নেমে আসে , সারাদেশে সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে। স্লোগানে স্লোগানে ফেটে উঠে লেবানন।
বৈরুতের শহীদ চত্বর ও রিয়াদ আল-সোলহ এর রাস্তাগুলি অবরোধ করে ডাস্টবিনের ট্যাকির ময়লায় আগুন জ্বালিয়ে তারা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এছাড়া বিক্ষোভকারীরা শহীদ স্কয়ারে তাঁবু স্থাপন করে বসে, যার সুস্পষ্ট সংকেত যে, তারা দীর্ঘ দিন থেকে এই আন্দোলনের পরিকল্পনা করছিল।
রিয়াদ আল-সোলায় দফায় দফায় বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে হয়, বিক্ষোভকারীদের থামাতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভকারীরা পাথর নিক্ষেপ করে এলাকার কয়েকটি দোকান এবং ব্যাংকের সামনের জানালা ছিন্নভিন্ন করে দেয়। একটি ব্যাংক ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা।
রাজধানী বৈরুতের বিভিন্ন এলাকায় একই চিত্র লক্ষ করা গেছে, বিক্ষোভকারীরা ডাস্টিবের স্তুপে আগুন জ্বালিয়ে আন্দোলন করছে।
লেবাননের ত্রিপোলি, সিডন, টায়ার, নাবাতিহ এবং বালবাকসহ আরও কয়েকটি বড় বড় শহরে রাস্তা অবরোধ করে। বৈরুতকে উত্তর ও দক্ষিণ লেবাননের সাথে সংযুক্ত বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা ত্রিপোলি এবং সিডনে অগ্নি বোমা নিক্ষেপ করে কয়েকটি ব্যাংকে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, “আমরা এটিকে আর নিতে পারছি না” যে অবস্থা তাতে আগামীকাল ডলারের মুল্য কোথায় পৌঁছাবে তা আমরা জানি না। আমরা এই সরকারের পতন চাই, আর কিছু চাইনা। এরা কিছুই করছেনা, শুরু ক্ষমতা আঁকড়ে বসে আছে। আমাদের ভবিষ্যতের চিন্তা করে এই সরকারকে চলে যেতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার তলিয়ে যাবে।
অন্যদিকে চাপের মুখে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব তার সকল কর্মসূচী বন্ধ করে শুক্রবার অবনতিমান আর্থিক পরিস্থিতির বিষয়ে মন্ত্রিসভার জরুরী বৈঠক ডাক দিয়েছেন । শক্রবার তিনি দুইটি বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে, প্রথম বৈঠক তাঁর সরকারী কার্যালয়ে এবং বিকেলে বাবদা ভবনে বৈঠক করবেন।
গতকাল ১০ জুন বৃহস্পতিবার লেবাননের কালোবাজারীরা ডলারে দাম বাড়িয়ে দেয়, ১০০ ডলারের মূল্য ৫লাখ লেবানিজ পাউন্ডের উপরে চলে আসে। ব্যাংকে ডলারের মূল্য এখনো ১০০ ডলারে ১৫১৫০০ পাউন্ডেই রয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলোতে ডলার না থাকায় সুযোগ নিচ্ছে কালোবাজারীরা। তারা তাদের ইচ্ছামত প্রতিদিন ডলারের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর এর খেসারত দিচ্ছে লেবানের অল্প আয়ের মানুষেরা।